জেন্ডার সচেতনতা হলো সমাজে লিঙ্গ-ভিত্তিক ভূমিকা, ক্ষমতা ও সম্পর্ক সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এবং এই বিষয়ে প্রচলিত ধারণা ও বৈষম্যগুলো চিহ্নিত ও চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নারী-পুরুষ ও অন্যান্য লিঙ্গ পরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং জেন্ডার-সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
জেন্ডার সচেতনতার মূল বিষয়:
-
লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য চিহ্নিত করা:জেন্ডার সচেতনতা মানুষকে সমাজের বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্য, কুসংস্কার এবং পক্ষপাতমূলক আচরণগুলো বুঝতে সাহায্য করে।
-
সামাজিকভাবে নির্মিত ধারণা বোঝা:এটি সমাজের আরোপিত লিঙ্গ ভূমিকা ও প্রত্যাশাগুলো বিশ্লেষণ করে এবং বোঝায় যে এগুলি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে নির্মিত, যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
-
মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া:জেন্ডার সচেতন ব্যক্তিরা যেকোনো লিঙ্গের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহানুভূতিশীল হয় এবং তাদের প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব করে না।
-
সমতার প্রতি প্রতিশ্রুতি:জেন্ডার সচেতনতার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো সমাজে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করা এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা।
জেন্ডার সচেতনতার গুরুত্ব:
-
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি:এটি এমন একটি সমাজ গঠনে সাহায্য করে যেখানে সবাই সমান সুযোগ ও সম্মান পায়।
-
কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ:এটি কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য দূর করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশ:এটি মানুষকে নিজেদের এবং অন্যদের লিঙ্গ-সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে চিন্তা করতে এবং নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে উৎসাহিত করে।
-
বৈষম্যহীন নীতি ও প্রক্রিয়া:জেন্ডার সচেতনতা প্রতিষ্ঠান এবং নীতি নির্ধারকদের এমন নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করে যা লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করে।